আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ইসরায়েলি বিমান হামলায় কাতারের রাজধানী দোহায় এ পর্যন্ত ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জনই ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বাকি যে একজন নিহত হয়েছেন, তিনি কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। হামলার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস। খবর আল-জাজিরার।
কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় ৬ জন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে নিহতের মোট সংখ্যা জানালেও হামাসের নাম উল্লেখ করেনি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে লক্ষ্যবস্তু করা হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজনের নাম হিমাম আল-হায়া। তিনি হামাসের গাজা শাখার নেতা খালিল আল-হায়ার ছেলে। নিহত অপরজনের নাম জিহাদ লাবাদ। তিনি খালিল আল-হায়ার দপ্তরের পরিচালক ছিলেন।
ইসরায়েলি একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে খালিল আল-হায়াও ছিলেন। তিনি হামাসের গাজা প্রধানের পাশপাশি প্রধান আলোচকের দায়িত্বও পালন করছেন।
ইসরায়েলের হামলার পর দোহায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর শহরটির লেগতিফিয়া পেট্রোল স্টেশন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ১৫টি যুদ্ধ বিমান এতে অংশ নেয় এবং হামলার ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১০ মিনিট।
এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ঘৃণ্য অপরাধ’, ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের অশালীন লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা নিশ্চিত করে বলছি যে শত্রুরা আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ভাইদের এবং আমাদের আলোচনাকারী দলের সদস্যদের হত্যায় ব্যর্থ হয়েছে।”
“আমাদের আলোচনাকারী প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো সাম্প্রতি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যখন আলোচনা করছিলেন, তখন চালানো হয়েছে এ হামলা। এ ঘটনার মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলো যে নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শান্তি চুক্তিতে তো আসতেই চায় না, উপরন্তু শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত যে কোনো উদ্যোগকে তারা বাধা দিতে বদ্ধ পরিকর।”
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল, তাদেরকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলা সম্পূর্ণ ন্যায্য।”
এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে নিন্দা জানিয়েছে কাতার।