আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সফর শুরুর আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর নিন্দা করেন।
খবর আলজাজিরার লিখেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, “জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে, আমি আমাদের সত্য কথা বলব, ইসরায়েলের নাগরিকদের সত্য, ইসরায়েলের সৈন্যদের সত্য, আমাদের জাতির সত্য।”
নেতানিয়াহু আরো বলেন, “জাতিসংঘে আমি সেই নেতাদের নিন্দা করব, যারা খুনি, ধর্ষক এবং শিশুদের পুড়িয়ে মারার (হামাসের) নিন্দা করার পরিবর্তে ইসরায়েলের হৃদয়ে একটি রাষ্ট্র (ফিলিস্তিন) প্রতিষ্ঠা করতে চান। এটি ঘটবে না।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি তার (ট্রাম্পের) সঙ্গে আমাদের সামরিক অভিযান যে দুর্দান্ত সুযোগ এনে দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব। সেইসঙ্গে যুদ্ধের লক্ষ্যগুলো পূরণ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করব; আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসকে পরাজিত করা এবং আমাদের জন্য উন্মুক্ত শান্তির বৃত্ত প্রসারিত করা।”
এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকায় ভিডিওর মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন।
আলজাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের জন্য আব্বাস ও তার জ্যেষ্ঠ সহযোগীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার পদক্ষেপ খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে সাধারণ পরিষদে আব্বাসকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিশ্ব সংস্থায় ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দেওয়া হয়েছে।
‘জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ’ হিসেবে তুলে ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি ৮০ জন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে, যার মধ্যে আব্বাসও রয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ দাবি করেছে, এটি ‘হোস্ট কান্ট্রি চুক্তি’ লঙ্ঘন করে। কারণ, এই চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের বার্ষিক সভা ও কূটনৈতিক কাজের জন্য নিউইয়র্কে ভ্রমণের অনুমতি দিতে বাধ্য।