আন্তর্জাতিক ডেস্ক || পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় জ্বালানিবাহী একটি ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৮ জন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দেশটির নাইজার অঙ্গরাজ্যের এজ্জা গ্রামে কাচা-আগাই সড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরো বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে একই ধরনের দুটি ঘটনায় অন্তত ১১৬ জন জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে ১৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার জ্বালানি বোঝাই একটি ট্যাংকার সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে উল্টে যায়। এরপর বিপুল পরিমাণ তেল রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের বহু মানুষ তখন ট্যাংকার থেকে ছড়িয়ে পড়া জ্বালানি সংগ্রহে ছুটে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে যায় আশপাশের সবাই।
ফেডারেল রোড সেফটি কর্পসের (এফআরএসসি) নাইজার শাখার কমান্ডার হাজিয়া আইশাতু সাদু বলেন, “দুর্ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। এই দুঃখজনক ঘটনায় ব্যস্ত ওই মহাসড়কে মারাত্মক যানজট তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে।”
নাইজার অঙ্গরাজ্যের গভর্নর উমারু বাগো এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ এখনও ঝুঁকি জেনেও উল্টে যাওয়া ট্যাংকার থেকে তেল সংগ্রহের চেষ্টা করছে-এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হতাশাজনক। এটি আমাদের জন্য আরো একটি বেদনাদায়ক ও কঠিন ট্র্যাজেডি।
গত বছর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জ্বালানি ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে অনেক দরিদ্র মানুষ এখন বিপজ্জনকভাবে উল্টে যাওয়া ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা করে।
পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ ঘটনা। প্রায় সময়ই রাস্তার খারাপ অবস্থা এবং খারাপ ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যানবাহনের কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।