বিনোদন প্রতিবেদক || ছোট্ট একটি মেয়ের মাথা থেকে রক্ত ঝরছে—আর শ্রেণিকক্ষে নির্লিপ্ত দাঁড়িয়ে আছেন শিক্ষক! সুনামগঞ্জের একটি স্কুলে সংঘটিত নৃশংস এই ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হঠাৎ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। কিছু শিক্ষার্থী বাইরে ছুটোছুটি করছিল। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেই শাসন শুরু করেন, আর ঠিক সেই সময় এক ছাত্রীকে ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন। মুহূর্তেই মাথা ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ে মেঝেতে। আরো মর্মান্তিক দৃশ্য—শিক্ষক তখনো তাকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন, এমনকি আরেক শিক্ষার্থীকে দিয়ে রক্ত মুছিয়ে নেন।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের ঝড় ওঠে। অসংখ্য মানুষ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, “এমন মানসিকতা যাদের মধ্যে আছে, তারা কোনোভাবেই শিক্ষার পবিত্র দায়িত্বে থাকতে পারেন না।” অনেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
চিত্রনায়িকা পরীমণি ওই ঘটনার একটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, “কত বড় বিকৃত মনের লোক! এটা শিক্ষক হয় কীভাবে!” পরীমণির এ পোস্টে ১৫ ঘণ্টায় রিঅ্যাক্ট পড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। মন্তব্য জমা পড়েছে প্রায় ১৭ হাজার।
পরীমণির বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। আরমান নামে একজন লেখেন, “বর্তমানে এমন নির্দয় শিক্ষক খুব বেশি দেখা যায় না। মেয়েরা এমনিতেই কোমলমতি, তাদের এমনভাবে আঘাত করা মেনে নেয়া যায় না। তাকে আইনের আওতায় এনে, তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।”
সুস্মিতা ঘোষ লেখেন, “বেতের বাড়ি ঝপাঝপ মারেন, সোজা হয়ে যাবে। কিন্তু মাথায় মেরে রক্ত বের করে দিয়েছেন, এইটা অন্যায়।” ক্ষুব্ধ হয়ে নেছার লেখেন, “ইদানীং খুব ভালো হয়ে গেছি। কিন্তু ওর জন্য মন চাইতাছে আগের রূপে ফিরে যাই।” হিরণ লেখেন, “এদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।” এমন অসংখ্য মন্তব্য পরীমণির কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।