1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ জারি - দৈনিক প্রথম ডাক
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২০ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রাত প্রদেশে কারফিউ জারি করেছে থাইল্যান্ড। বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ ঘোষণা এলো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধের কথা বলার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটলো। খবর রয়টার্সের।

মে মাসে সীমান্ত সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দুই দেশ চলতি বছর একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে। সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তের উভয় পাশে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

কারফিউ ঘোষণার পর থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সুরাসান্ত কংসিরি ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। আলোচনায় বসার আগে কম্বোডিয়াকে অবশ্যই শত্রুতামূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।”

শনিবার থাই সেনাবাহিনী জানায়, তারা কম্বোডিয়ার একটি সেতু ধ্বংস করেছে। তাদের দাবি, সেতুটি ব্যবহার করে কম্বোডিয়া এই অঞ্চলে ভারী অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পাঠাত। একই সঙ্গে কম্বোডিয়ার উপকূলীয় কোহ কং প্রদেশে মোতায়েনকৃত কামান লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে।

থাইল্যান্ডের জারি করা কারফিউ কোহ কংয়ের সীমান্তবর্তী ত্রাত প্রদেশের পাঁচটি জেলায় কার্যকর হবে। তবে পর্যটন দ্বীপ কোহ চ্যাং ও কোহ কুড এই কারফিউর আওতার বাইরে থাকবে। এর আগে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সাকেও প্রদেশেও কারফিউ জারি করা হয়েছিল, যা এখনো বহাল রয়েছে।

সোমবার থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাদের ৮১৭ কিলোমিটার (৫০৮ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তের একাধিক স্থানে ভারী অস্ত্রের গোলাবিনিময় করেছে। এটি জুলাই মাসে পাঁচ দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর সবচেয়ে তীব্র লড়াই হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় সংঘাত শেষ হয়েছিল।

গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাদের ৮১৭ কিলোমিটার (৫০৮ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তের একাধিক স্থানে ভারী অস্ত্রের গুলি বিনিময় করে চলেছে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় পাঁচ দিনের তীব্র সংঘর্ষের পর শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। তবে গত সপ্তাহ থেকে চুক্তি ভেঙে ফের সংঘর্ষ জড়ায় প্রতিবেশী দুই দেশ।

এদিকে গত শুক্রবার ট্রাম্প থাইল্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, তারা ‘সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধে’ সম্মত হয়েছেন।

ট্রাম্প জানান, তিনি গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেটের সঙ্গে কথা বলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা ‘সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধে’ সম্মত হয়েছেন।

তবে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন ঘোষণা দেন, “আমাদের ভূমি ও জনগণের প্রতি হুমকি শেষ হলেই আমরা লড়াই বন্ধ করব।”

হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র পরবর্তীতে বলেন, “ট্রাম্প আশা করেন যে সব পক্ষ প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। হত্যা বন্ধ করতে ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে তিনি প্রয়োজনে যে কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

Categories

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT