খেলাধুলা প্রতিবেদক || ছক কাটা কাজের বাইরে গিয়ে, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ব্যতিক্রমী কিছু করে দেখাল। বিজয় দিবস ক্রিকেট মানেই শহীদ জুয়েল একাদশ ও শহীদ মুশতাক একাদশের প্রীতি ম্যাচ। যেখানে মিরপুরের ২২ গজে দেখা মেলে দেশের ক্রিকেটের প্রথম সারির সব ক্রিকেটারদের।
নান্নু, রফিক, হাবিবুল, আশরাফুল, রাজ্জাক, মেহরাব হোসেনদের নিয়ে আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতা। কোয়াব এবার বর্তমানের তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ অলস্টার্স ম্যাচ। যেখানে অদম্য ও অপরাজেয় দুটি দল অংশগ্রহণ করে। যে দল দুটির নেতৃত্বে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বিজয় দিবস ক্রিকেটে কোয়াবের পরিকল্পনায় প্রথমবার বড় আকারে আয়োজন এমন কিছু। কৃত্রিম আলোয় ব্যাট-বলের ঠুকঠাক শব্দে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। ম্যাচ ৩ উইকেটে জিতে উল্লাসে মেতে ওঠে মেহেদী হাসান মিরাজের অদম্য দল। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান করে অপরাজেয়। জবাবে শেষ ওভারে ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়।
শুরুতে জিসান আলম দু্যতি ছড়ান অপরাজয়ের হয়ে। ২২ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শান্ত করেন ২৬ বলে ৩০ রান। শেষ দিকে জাকের আলীর ১৩ বলে ২৩ রানে বড় পুঁজি পায় অপরাজেয়। অদম্যের দুই পেসার শরীফুল ইসলাম ও সাইফউদ্দিনের ৩টি করে উইকেট নেন।
নাঈম শেখের ৪৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। যদিও নাঈম ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। শেষ দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে ম্যাচ ক্লোজ করার চেষ্টা করে অপরাজেয়। কিন্তু অদম্যের লেট অর্ডার ব্যাটসম্যান সাইফ উদ্দিন চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন।
দর্শকরা টিকিট কেটে দেখেছে এই ম্যাচ। টিকিটের সকল অর্থ যাবে কোয়াবের কোষাগারে। যা ব্যয় হবে ক্রিকেটারদের জন্যই।
এর আগে বিজয় দিবসের সকালে শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাক একাদশের মধ্যে ম্যাচ হয়েছিল। ১৫ ওভারের ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে শহীদ মুশতাক একাদশ মিনহাজুল আবেদীনের শহীদ জুয়েল একাদশকে হারিয়েছে ৩৮ রানে। আগে ব্যাটিং করে শহীদ মুশতাক একাদশ ৬ উইকেটে ১৩৮ রান করে। জবাবে জুয়েল একাদশ ১০০ রানের বেশি করতে পারেনি।
ব্যাট-বলের ক্রিকেটানন্দে মেতে উঠেন সাবেক ক্রিকেটাররা।