রাজশাহী প্রতিনিধি || রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় ফসলি জমিতে পুকুর খননে বাধা দেওয়ার সময় এক্সকেভেটরের চাকার নিচে চাপা পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা মাটি খননের যন্ত্রটিতে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশ এক্সকেভেটর চালককে আটক করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জুবায়ের হোসেন (২৫)। তিনি উপজেলার বড় পালশা গ্রামের বাসিন্দা। আটক এক্সকেভেটর চালক আবদুল হামিদ টাঙ্গাইল জেলার কাদিমহামজানি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, রাজশাহীর মাঠে মাঠে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল কৃষককে না জানিয়ে কিংবা অনুমতি না নিয়েই জোর করে পুকুর খনন করে। সেই পুকুর তারা ইজারা দেয় এবং পরবর্তীতে ইজারামূল্যের একটি অংশ কৃষককে দেয়। এতে রাজশাহীতে কৃষিজমি রাতারাতি পুকুর হয়ে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পালশা গ্রামে পুকুর খনন করা হচ্ছিল। কৃষিজমি রক্ষায় স্থানীয়দের সঙ্গে জুবায়ের বাধা দেন। এ সময় ভীমনগর গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে এক্সকেভেটরের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন জুবায়ের। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক জুবায়েরকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহিমা বিনতে আখতার ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়িতে যান। এসময় তিনি নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
ইউএনও ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, “পুকুর খনন করবে জেনে এলাকাবাসী বাধা দেন। ফসলি জমিতে তারা পুকুর খনন করতে দেবেন না বলে জানান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি এক পর্যায়ে এক্সকেভেটর গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে জুবায়ের আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমি এখানে আসার পরে শুনেছি, ঘটনার পরে জনতা গাড়িটিতে আগুন দিয়েছে। পুলিশ চালককে আটক করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন জানান, এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।