1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, সেটি ভাঙলে সমাজ দিশেহারা হয়: সালাহউদ্দিন - দৈনিক প্রথম ডাক
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, সেটি ভাঙলে সমাজ দিশেহারা হয়: সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক || বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণমাধ্যম হলো সমাজের দর্পণ। সেই দর্পণ ভেঙে গেলে সমাজও দিশেহারা হয়ে পড়ে। আজ সমাজের দর্পণ চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু, সাংবাদিকদের বিবেক ও দায়িত্ববোধ যেন কখনো ভেঙে না পড়ে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির আমন্ত্রণে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পত্রিকা একটি বিমূর্ত ধারণা হলেও সাংবাদিকরাই সেটিকে মূর্ত করে তোলেন। জাতির বিবেক, জাতির মতামত—সবকিছুর প্রতিফলন ঘটে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে। কিন্তু, দুঃখজনকভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই দর্পণের ওপর আঘাত এসেছে।

তিনি সম্প্রতি দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকা অফিসে যেভাবে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়েছে, সেই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। এটি একটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য চরম লজ্জার। এ ধরনের ঘটনার দায় শুধু দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে শেষ করা যায় না।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এমন ঘটনার সম্ভাবনা সম্পর্কে আগেই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সতর্কতা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো সত্ত্বেও তারা কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি, সে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। যাদের ওপর নিরপেক্ষ নির্বাচন ও রাষ্ট্র পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব, তাদের ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা গণতন্ত্র চেয়েছিলাম, কিন্তু কেন মবোক্রেসির মতো পরিস্থিতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হলো? এটি সরকারের দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ। এসব অপতৎপরতা কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এখনই সময় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের। আমরা আর সেই ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতিতে ফিরে যেতে চাই না, যেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা এখন হিমালয়ের মতো বিশাল। তারা পূর্ণ গণতন্ত্র, সর্বক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও শক্তিশালী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান চায়। গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমকে ‘ফোর্থ স্টেট’ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মত বা সংশ্লিষ্টতা থাকতেই পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে সবাইকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। নিরপেক্ষতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো—দেশ ও জনগণের পক্ষে থাকা।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। সারা জাতি তার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায়। এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা কোনো ব্যক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য নয়, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। ব্যক্তিতান্ত্রিক বা দলতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের কোনো জায়গা বিএনপির রাজনীতিতে নেই, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন পাভেলসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া দেশের জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওতে কর্মরত সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

Categories

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT