নিজস্ব প্রতিবেদক || বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি, বরং এটি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।”
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
টানা সপ্তম দিনের মতো চলা এই কর্মসূচিতে বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, “একটি মহল পরিকল্পিতভাবে অত্যন্ত ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে আতঙ্ক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। ওসমান হাদির ঘটনার মতো ঘটনাগুলোকে ব্যবহার করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে।”
তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত হলে চলবে না। মানুষকে সাহস দিতে হবে। গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।”
তারেক রহমান আরো বলেন, “যেকোনো মূল্যে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত বা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে দেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারলে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হবে।”
তিনি বলেন, “বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব স্বৈরাচার ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।”
দেশের নানা সংকটময় সময়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ রক্ষা পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, “গত ১৫ বছরে দেশকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং ভিন্নমত দমন ও অবিচারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম।